November 14, 2025
Siliguri-তে গত সাতদিনে পরপর চারটি পকসো মামলা সামনে আসায় ফের উঠছে প্রশ্ন—সচেতনতা কি যথেষ্ট? নাবালিকাদের ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগজনক প্রবণতা।
Siliguri, ১৩ এপ্রিল:
সরকার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে সচেতনতামূলক প্রচার সত্ত্বেও নাবালিকাদের সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল Siliguri-তে। গত এক সপ্তাহে শহরে পরপর চারটি পকসো মামলা সামনে এসেছে। এর মধ্যে তিনটি ঘটনায় প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একটি ঘটনায় বিয়ের পর শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে ১৭ বছরের এক নাবালিকা।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি মাসেই Siliguri মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় গড়ে ছয় থেকে সাতটি নাবালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ থাকে অপহরণ বা প্রেমের প্রলোভনে পালানোর।
প্রধাননগর থানার আইসি জানিয়েছেন, “এই নাবালিকারা আইন জানে না—এটা ঠিক নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ি ছেড়েছে এবং অভিযুক্তের নাম প্রকাশ না করার জন্য প্রভাবিত হচ্ছে।”
সম্প্রতি এক ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ থেকে এক তরুণ ও তার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু উদ্ধার হওয়া নাবালিকা জানায়, সে স্বেচ্ছায় গিয়েছিল।
Siliguri Girls' High School-এর প্রধান শিক্ষিকা অতাহা বাগচী বলেন, “কিছু নাবালিকা স্কুলে না গিয়েই ছেলেদের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি টিউশনের নামেও বাড়ি ছাড়ছে। আমরা অভিভাবকদের সঙ্গেও সচেতনতা প্রচার করছি।”
সূর্য সেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুতপা সাহা বলেন, “নাবালিকাদের সচেতন করতে যারা প্রচার চালাচ্ছেন, তাঁদের নিজেরাও কি যথাযথ প্রশিক্ষিত? আজ মোবাইল আসক্তি থেকেই সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।”
গত বছর Matigara থানার এক অভিযানে এমনই একটি ঘটনা ধরা পড়ে, যেখানে এক নাবালিকা Jaipur-এর এক তরুণের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের পর পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে তরুণ ও তার মা গ্রেপ্তার হন।
Siliguri Metropolitan Police-এর ডিসিপি (West) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, “সরকার, পুলিশ, স্কুল—সবাই সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। কিন্তু আইনের সীমার মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
এই ঘটনাগুলি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে, সমাজের আরও গভীর স্তরে পৌঁছে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে।
Recommended Post
All Rights Reserved © 2025 Siliguri Reports
Leave a Comment