November 14, 2025
সংক্রান্তির সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির যতীন পার্কে পথ আটকে আঁকা হল রঙিন আলপনা। চারদিকে সাজ, অনুষ্ঠান, সেলফি– সব মিলিয়ে শহরজুড়ে নতুন বছরের উৎসবের আমেজ।
শিলিগুড়ি, ১৪ এপ্রিল:
নতুন বছরের আগে সংক্রান্তির সন্ধ্যাটা এমনই হবে— অনুমান করেছিলেন অনেকে। আর সেটাই যেন সত্যি হয়ে উঠল শিলিগুড়ির যতীন পার্ক চত্বরে।
সোমবার সন্ধ্যায় আলপনা আঁকার নামে কার্যত ব্যস্ত রাস্তা বন্ধ করে জমজমাট হয়ে উঠল গোটা এলাকা। পার্কের গেট থেকে শুরু করে সামনের ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত রাস্তা জুড়ে চলল আলপনার কাজ, আলোর রোশনাই, আর মানুষে মানুষে ভিড়।
বিকেল থেকেই রাস্তা ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল, শুরু হয়েছিল আলপনা আঁকার তোড়জোড়। গেটের সামনে সাংস্কৃতিক সংগঠন 'অটক'-এর উদ্যোগে আয়োজিত হয় বছর শেষের অনুষ্ঠান। সেইসঙ্গে চলতে থাকে রাস্তাজুড়ে রঙিন আলপনার কাজ। রাত বাড়তেই জমে ওঠে সেলফি-হান্ট। কেউ পোজ দিচ্ছেন, কেউ মন দিয়ে দেখছেন, কেউবা শুধুই উপভোগ করছেন নিরবে।
পথচারি থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা ক্লান্ত কর্মচারী— সকলেই দু’দণ্ড দাঁড়িয়ে ছবির মতো সেই দৃশ্য উপভোগ করলেন। ফিজিক্স টিউশন সেরে বাড়ি ফেরা অয়ন ও তাঁর বন্ধুরা ব্যাগ হাতে নিয়েই ছবিতে বন্দি করলেন নিজেদের। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে পারফর্ম করে ফেরা নৃত্যশিল্পী সায়ন্তনী নাচের পোশাকেই পোজ দিলেন আলপনার ওপর দাঁড়িয়ে।
ছবির শিকারি ছিলেন অনেকেই— কেউ দামি স্মার্টফোনে, কেউ ডিএসএলআরে। বিশেষ করে পার্ক গেটের অংশে আলো বেশি থাকায় সেখানে ভিড়ও বেশি ছিল। তবে সবাই যে ছবি তুলছেন এমন নয়। কেউ কেউ যেন শুধু দেখার জন্যই এসেছেন।
ঠিক যেমন একজন তরুণী, কালো টি-শার্টে রাস্তার পাশে স্কুটার দাঁড় করিয়ে মন দিয়ে দেখলেন আলপনা। মোবাইল বের করেও তুললেন না ছবি। কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে আবার বেরিয়ে গেলেন নিজের পথে।
অন্যদিকে, এক তরুণ-তরুণীর কথোপকথনে উঠে এল পরের দিনের পরিকল্পনা— “আমি সকাল ৭টার মধ্যে চলে আসব, তুইও আসিস।” সংক্রান্তির সন্ধ্যায় তাঁদের দেখা শেষ, সাক্ষী সেই আলপনা।
শহরের হৃদয়ে এমন একটা শিল্পোৎসব যেন শুধু রঙে নয়, আবেগে, স্মৃতিতে ভরে দিল রাতটাকে।
Recommended Post
All Rights Reserved © 2025 Siliguri Reports
Leave a Comment